চাঁদে পাওয়া গেল পানির সন্ধান, জানালেন নাসা

আগে যে পরিমাণ পানি ধারনা করা হতো তার থেকে বেশি চাঁদে পাওয়া গেল পানির সন্ধান। তবে তা পান করার উপযোগি না।
মাত্র কয়েক বছর আগেও ধারনা করা হতো চাঁদের মাটি একবারে খটখটে শুকনো। তারপর মেরু অঞ্চলের কিছু কিছু অংশে অল্প পরিমাণ পানি আছে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
এবার নাসার বিজ্ঞানীরা যে আবিষ্কারের কথা বললেন তা যেনো নভোচারীদের জন্য এক বিশাল সুযোগ।
নাসার সদর দফতর অ্যাস্ট্রো ফিজিক্স বিভাগের পরিচালক পল হার্টজ বলেন, চাঁদে পাওয়া গেল পানির সন্ধান। আগে যে পরিমাণ পানি ধারণা করা হয়েছিল তার থেকে পানির পরিমাণ অনেক বেশি।
গবেষকরা প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে পানির উপস্থিতি সনাক্ত করতে সক্ষম হন।
চাঁদে সন্ধান পাওয়া পানি পান করার মতে না। কারন, সেগুলো পৃথিবীর পৃষ্টে যে পানি আছে তার মতো তরল না, আছে জমাট বাঁধা অবস্থায়। যেহেতু অনেক বেশি পরিমাণ জল রয়েছে চাঁদের বুকে, কাজেই ভবিষ্যতে নভোচারী এবং রোবোটিক মিশনগুলির জন্য রকেটের জ্বালানিসহ আরো অনেক কিছুই পাওয়া যাবে চাঁদের বুকে। ফলে এই নতুন আবিষ্কার নভোচারীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন:চাঁদেও 4G নেটওয়ার্ক !নোকিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে দাবি করল নাসা
এছাড়াও ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষের স্থায়ীভাবে বাসস্থান তৈরি করার সহায়তা করবে। সাধারনত অন্য কিছুর তুলনায় জল অনেক ভারী তাই পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে জল বহন করে ভ্রমন করা অনেক ব্যয়বহুল। এখন থেকে চাঁদে নভোচারীদের জন্যও ভ্রমন করা অনেক সহজ হবে।
তবে এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি যে চাঁদে সূর্যালোক অঞ্চলে জল কীভাবে ব্যবহারযোগ্য।
১১ বছর আগে এক গবেষণায় ইঙ্গিত করা হয়েছিল, যে চাঁদে স্বল্প পরিমাণ জল রয়েছে। তার কিছু দিন পরেই অন্য দল জানিয়েছে যে চাঁদের প্রায় ১৫,০০০ বর্গমাইল (৪০,০০০ বর্গকিলোমিটার) জুড়ে বরফ অাকারে লুকিয়ে আছে অল্প পরিমাণ জল।
বিজ্ঞানী হননিবল বলেন, অনেক মানুষ ধারনা করে আমরা যা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি তা হলো জলের বরফ, যা সত্য নয়। এটি কেবল জলের অণু। কারণ তারা এতটাই ছড়িয়ে গেছে যে তারা একে অপরের সাথে তরল জল গঠনে সাহায্য করে না।
নাসা ২০২৩ সালের শেষদিকে জলের উৎস এবং বন্টন র্সম্পকে জানতে চন্দ্র পৃষ্ঠে একটি গল্ফ কার্ট-আকারের রোভার পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।
বিস্তারিত জানুন এখানে
একটি মন্তব্য